এবার রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষ ও আগুনের ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ করেছে পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। এতে পাহাড়ি-বাঙালি সংর্ঘষে রূপ নেয়। বিক্ষোভ করার সময় দোকান, মসজিদ ও গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে।
পরে কনরুপা এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। এতে সংর্ঘষ বাধে। এ সময় শহরের বিভিন্নস্থানে দুই পক্ষের পাহাড়ি-বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।এতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এদিকে রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী জানান, সকালে বিক্ষোভ থেকে বনরুপা বাজারে হামলা করে পাহাড়িরা, পরে বাঙালিরা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলে সংর্ঘষে রুপ নেয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়া পিটিয়ে হত্যার ঘটনার বিচারের দাবিতে গতকাল দীঘিনালায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ৮০টির মতো দোকান ও বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে জেলার বিভিন্নস্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।